ঢাকা: উদ্বোধনের পর টানা কয়েকদিন মেট্রোরেলে উঠতে নগরবাসীর ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে শুরুর সেই কৌতূহলী যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় কমতে শুরু করলেও স্বাভাবিক রয়েছে যাত্রী চলাচল।
গত দুটি ছুটির দিনের মতো রোববারেও (৮ জানুয়ারি) শীতের সকালের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন মেট্রোরেলের উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনে।
সরেজমিনে এদিন সকালে মেট্রোরেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আগারগাঁও স্টেশনে রেলের যাত্রা শুরুর সময় সকাল ৮টা থেকেই আসতে থাকেন যাত্রীরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। অধিকাংশ যাত্রীই এসেছেন মূলত প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চড়ার স্বাদ পেতে। ঢাকার বাসিন্দা ছাড়াও বাইরের অনেকেই এসেছেন মেট্রোরেলে চড়ার স্বাদ নিতে।
এরমধ্যে আবার অনেকে আগেও মেট্রোরেলে চড়েছেন। অনেকেই আছেন, যারা নিয়মিত মেট্রোরেলে চড়ছেন।
সাকিব হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমার বাড়ি খুলনায়। স্বপরিবারে এসেছি মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে।
অন্যদিকে সাদিক হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমার বাসা উত্তরা আর অফিস ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে। আমি নিয়মিতই অফিস করতে মেট্রোরেলে চড়ছি। আগের চেয়ে সময় কম লাগছে যাতায়াতে।
অনেক যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও এখনো অনভ্যস্ত অধিকাংশই। তাদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির বদলে মেট্রোরেলের কর্মীরা সাহায্য করছেন ব্যবহারবিধি অনুযায়ী চলতে।
মেট্রোরেল প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে এবং হাতে হাতে- উভয় পদ্ধতিতেই টিকিট কাটছিলেন। সবাই নিয়ম মেনেই টিকিট কেটে মেট্রোরেল ভ্রমণ করছিলেন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, এভাবে ১০ দিন চলার পর মূল্যায়ন বৈঠক হবে। পরে কোন কোন স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা শুরু হবে, তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এখন ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ টিকিট কাটার বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। অন্যান্য স্টেশন চালু করতে বেশি দিন লাগবে না।
লোকবল নিয়োগের কাজও পুরোদমে চলছে বলে জানান মেট্রোরেলের এমডি।
গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পরেরদিন থেকে চালু হয় মেট্রোরেলের যাত্রী চলাচল। তখন থেকেই কেবল আগারগাঁ ও উত্তরার দিয়াবাড়ি স্টেশনের মধ্যে চলাচল করছে মেট্রোরেল। আর কোনো স্টেশনেই থামছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১, জানুয়ারি ০৮, ২০২৩
এনবি/এনএস