ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতি বিভাগে সমাবেশ করবে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
প্রতি বিভাগে সমাবেশ করবে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে দেশের সবগুলো বিভাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি আদায়ে বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটির আহ্বায়ক শাজাহান খান লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শাজাহান খান বলেন, নির্বাচনের আগেই বিএনপি নতুন পদ্ধতিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। তারা দেশে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এই অবস্থায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। দেশে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে আমাদের যথাযথ ভূমিকা রাখার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে বাংলার জনগণ স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেবে। এই লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত সংগঠন ‘সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ দেশের ৮টি বিভাগ ও ২টি প্রস্তাবিত বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে ঢাকার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শাজাহান খান আরও বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জানুয়ারি রংপুরে, ২৬ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২৯ জানুয়ারি বরিশালে, ৩০ জানুয়ারি ফরিদপুরে, ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায়, ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে এবং ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার মহাসমাবেশ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

এসব সমাবেশ ও মহাসমাবেশের ৪টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে শাজাহান খান বলেন, রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতা বিরোধীদের চিরদিনের মতো রাজনৈতিকভাবে পুনরায় পরাজিত করে নির্মূল করা; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারকে সহায়তা করা; সকল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, নাশকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেশ ও রাষ্ট্রকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল জরা জীর্ণতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের হাত শক্তিশালী করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।