ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তি পেলেন ফখরুল ও আব্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
মুক্তি পেলেন ফখরুল ও আব্বাস

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

জামিননামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তারা মুক্তি পান।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান কারাফটক থেকে জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের মুক্তির অপেক্ষায় দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা কারাগারের গেটে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যায় যখন এই দুই শীর্ষ নেতা বের হয়ে আসেন তখন কারাগারের বাইরে অপেক্ষমান বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। কারামুক্তির পর দুই নেতা সরাসরি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা করেন।

এ দিন বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের জামিননামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের বিএনপির নেতাকর্মীরা কারাগারের সামনে জড়ো হন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের কারামুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে কারাগার কর্তৃপক্ষ কারাগার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

কারাগারে আসা বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন ও দর্শনার্থীদের কারাগার এলাকায় প্রবেশকালে তল্লাশি করা হয়। বিকেল থেকে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস কারাগারের ফটকে অপেক্ষা করছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আরও অনেক নেতাকর্মী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাদের নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।

রোববার পল্টন থানার মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মামলায় ফখরুল-আব্বাসের জামিননামা দাখিল না করতে চেম্বার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা তুলে নেন আপিল বিভাগ।

ফখরুল-আব্বাসের জামিন প্রশ্নে রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এ অবস্থায় তারা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
এজেডএস/এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।