পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটায় বেদখল হওয়া খাল ভরাট সম্পত্তিসহ পুকুর উদ্ধারে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মামলা করা হয়েছে। পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনস্বার্থে এ মামলা করেছেন পাথরঘাটার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পরিবেশকর্মী রফিকুল ইসলাম কাকন।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আদালত এ ঘটনায় আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কানুগোকে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ এ, ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন; 'মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহর পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জালাধার সংস্করন আইন, ২০০০', বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (১৯৯৫ সালের আইন নং ১) এবং অন্যান্য প্রযোজ্য আইন এবং নীতি মেনে এ মামলা করা হয়। এতে পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার এবং অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যার মামলা নং ৩৭/২০২৩।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে শ্রমিক দিয়ে খাল ভরাট করে চারটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেখানে প্রায় ৫ ফুট দেয়াল উঠে গেলে মামলার বাদী ইউএনওকে বিষয়টি জানান। কিন্তু ইউএনও নিজেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় উল্টো এ কাজে সহায়তা করেন এবং দখল কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৩৯৬ ও ৫০৫ দাগটি এসএ নক্সায় খালটি ইউনিয়ন বোর্ড কতৃক সংরক্ষিত এবং পৌরসভা সৃজন হওয়ার পরে পৌরসভার আওতাধীন।
ওই এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল হক মোল্লা জানান, কলেজের দোহাই দিয়ে প্রভাষকরা ভবন নির্মাণ করছেন। অথচ এখানে আগে খাল ছিল যেখানে লঞ্চ চলাচল করতো।
মামলার বাদী ও পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার বেশ কিছু খাস সম্পত্তি রয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা থাকার পরেও পর্যায়ক্রমে সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। তাই জনস্বার্থে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী আওলাদ হোসেন তুহিন বলেন, বিজ্ঞ আদালত কানুগোকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এফআর