কুমিল্লা: কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চোর সন্দেহ করায় সহকর্মী যুবককে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অপর যুবক। হত্যাকাণ্ডের শিকার ও হত্যাকারী দুজনই একটি গরুর খামারে কাজ করতেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নিহত মনজুরুল ইসলামের (২৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে। তিনি দুর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকায় আক্তার হোসেনের গরুর খামারে কাজ করতেন। ঘাতক নাহিদও ওই খামারের কর্মচারী এবং রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার উজিয়াল ডাক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরান জানান, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে বড় ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মোস্তাকিন মিয়া নামের একজন। পরে প্রযুক্তির সহয়তায় সন্দেহভাজন নাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নাহিদ স্বীকারোক্তি দেন তিনি মনজুরুলকে হত্যা করেছেন। তার দেওয়া তথ্যে ডোবা থেকে মনজুরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামরান হোসেন আরও জানান, ১৩ জানুয়ারি রাতে মনজুরুলের পকেটে থাকা ১৪শ টাকা হারিয়ে যায়। মনজুরুলের দাবি ছিল, তার টাকা হারিয়ে যায়নি, চুরি করেছে নাহিদ। বিষয়টি নিয়ে দুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মনজুরুল স্থানীয়দের বিষয়টি জানিয়ে ঘুমিয়ে যায়। এদিকে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে রাত সাড়ে ১১টায় নাহিদ ঘুমন্ত অবস্থায় মনজুরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ খামারের পাশে ডোবায় ফেলে রেখে যায়।
পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মনজুরুলের ছোট ভাই মোস্তাকিন মিয়া বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান জানান, গ্রেফতার নাহিদকে আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসএ