ঢাকা: হত্যাকাণ্ডের পর নিজের গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নাম-পরিচয় ও পেশা পাল্টে ছদ্মবেশে ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫)। দীর্ঘ দুই ধরে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আটক করে র্যাব।
জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চার বছর, মিরপুরে সাত বছর বসবাস করেন সোহরাব। পরবর্তী সময়ে তেজগাঁও এলাকায় গিয়ে তিন বছর পার করে। এর পর চলে যান সাভারের জিরানীতে, সেখানে ছিলেন ১০ বছর।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসিলায় র্যাব-২’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়র হোসেন খান।
তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের জুনে যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শুক্কুর আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন সোহরাব হোসেন ও তার সহযোগী আশরাফ, রেজাউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, খোকন ঢালী। ঘটনার পর নিহতের পরিবার বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নাম্বার-১০) দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেলে এজাহারনামীয় ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত হত্যার ঘটনায় সাক্ষীদের জবানী গ্রহণ করেন। তথ্য প্রমাণসহ দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালে এক নম্বর আসামি সোহরাব, দুই ও পাঁচ নম্বর আশরাফ, খোকন ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেন দুই আসামিকে। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান সোহরাব।
আনোয়র হোসেন আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি নিজের আত্মগোপনের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন গত ২৪ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন নাম-ঠিকানা ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন পেশায় কাজও করতেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসজেএ/এমজে