ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকৌশলী থানায় গিয়ে বললেন, ‘বাবাকে খুন করেছি, গ্রেফতার করুন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
প্রকৌশলী থানায় গিয়ে বললেন, ‘বাবাকে খুন করেছি, গ্রেফতার করুন’ গোলাম

ঠাকুরগাঁও: ‘আমি বাবাকে খুন করেছি, গ্রেফতার করুন’, থানায় গিয়ে এভাবেই আত্মসমর্পণ করেছেন গোলাম আজম (২৯) নামে এক প্রকৌশলী।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের একুশে মোড় শান্তিনগর এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে বাবা ফজলে আলমকে (৫৮) হত্যা করে থানায় গিয়ে একথা বলেন তিনি।

নিহত ফজলে আলম কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তার ছয় সন্তানের মধ্যে গোলাম আজম চতুর্থ।

ফজলে আলমের ভাতিজা শামসুজ্জামান বলেন, আজম রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (রুয়েট) থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা শেষ করে ঢাকায় একটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন৷ বাড়িতে থেকে পাশের জেলা দিনাজপুরের একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন তিনি৷ পরিবারের লোকজন তাকে জোর করে মানসিক রোগের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এতে পরিবারের লোকজনের ওপর তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত রাতে পাশাপাশি দুই রুমে বাবা ও ছেলে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কেউ বাসায় ছিলেন না। রাত ৩টার দিকে আজম তার বাবার রুমে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এরপর ছুরি দিয়ে তার দেহের কয়েক জায়গায় আঘাত করেন আজম। এতে ফজলে আলমের মৃত্যু হলে আজম নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার কথা বলেন।  

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বাবাকে খুন করার পর ছেলে নিজেই থানায় চলে আসেন৷ মরদেহ ময়নাতদন্তের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।