ঢাকা: কর দেওয়ার মাধ্যমে সবাইকে জাতীয় উন্নয়নে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রম বিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা এবং আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
সেমিনারে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রেতা ও ভোক্তার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গ্রামের মানুষের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে গ্রামেও আয়কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৭ মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ৩২৯ ডলারে। ২১ বছরে মাথাপিছু আয় এর পার্থক্য মাত্র ৫২ মার্কিন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে ২ হাজার ১২৪ ডলারের মাথাপিছু আয়ের পার্থক্যটা অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ আমাদের ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবক। তারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সমদৃত হচ্ছে।
এ সময় তিনি হয়রানিমুক্ত আয়কর প্রদান ব্যবস্থা গড়তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ঋণের জন্য আবেদন করার দুই বছর পরও আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ দেয়নি। অথচ বাংলাদেশ আবেদন করার ছয় মাসের মধ্যে আইএমএফ অনুমোদন করেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসসি/এসএ