ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
‘শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা'

ঢাকা: ‘অতিরিক্ত শব্দ দূষণের ফলে আমরা ধীরে ধীরে বধির জাতিতে পরিণত হচ্ছি। জনগণকে প্রত্যক্ষ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।

শব্দের মানমাত্রা হতে হবে মানুষের সহনসীমার মধ্যে। শব্দের দূষণ প্রতিরোধে দরকার সচেতন একটি সমাজ। ’
 

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায়’ বক্তারা এসব কথা বলেন।  

সভাটির আয়োজন করে পরিবেশ অধিদফতর। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ইকিউএমএস কন্সালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সভায় অংশ নেয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, ডাক্তার, সংবাদকর্মী, গাড়ি চালক, সামাজিক ও পরিবেশবাদি বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, ‘উচ্চমাত্রার শব্দের ফলে স্বাস্থ্যগত যেসব ক্ষতি মারাত্মক। এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজনের জন্য আমারা যেভাবে কাজ করছি ঠিক একইভাবে শব্দ দূষণ নিয়ে কাজ করতে হবে। ’

দূষণ রোধে প্রযুক্তি ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, শব্দমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যেম উচ্চস্বরের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাস্তার পাশে সাউন্ড বেরিয়ারের জন্য গাছ লাগালে দূষণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। ডিটিসিএ এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সমন্বিত উদ্যোগে দূষণের উৎস চিহ্নিত করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতর, বিআরটিএ, বিআরটিসি, পুলিশ, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সকলের দায়িত্ব দূষণ প্রতিরোধ।

স্বাগত বক্তব্যে স্টামফোর্ড বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শব্দ দূষণসহ পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, তবে আইনের প্রয়োগ হোক সর্বেশেষ পদক্ষেপ এবং সচেতনতাই হোক সর্বপ্রথম পদক্ষেপ।

সভাটির সঞ্চালনা করেন শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৬৪ জেলা শহরে শব্দের মাত্রা পরিমাপ বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের টিম লিডার অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।  

সভাপতিত্ব করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ সাবেক উপাচার্য ও স্থপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিটিসিএ এর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির, প্রেস ইন্সটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
ইএসএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।