ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে উত্তেজনা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
গাজীপুরে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে উত্তেজনা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকার বাসা বাড়ির ময়লা ফেলানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।  

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারা বিক্ষোভ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলগামী লেন অবরোধ করে রাখে।

এতে এক পাশের লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।  

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্বাছ উদ্দিন খোকন জানান, গাজীপুর সিটির অনুমতি নিয়ে স্থানীয়ভাবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে ভ্যানে করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় নির্ধারিত ড্যাম্পিং স্টেশনে ফেলানো হচ্ছে। এ কাজে ১২নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সবুজ সহায়তা করেন। এতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে তার এক সু-সম্পর্ক তৈরি হয়।  
 
ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সবুজ বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নেতৃত্ব দেওয়াকে জিকু আহমেদ ও তার সঙ্গীরা মেনে নিতে পারেনি। তাই জিকু ও তার লোকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ময়লা ফেলানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে টাকা দাবি করে জিকু ও তার লোকজন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমার সঙ্গে জিকুর শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমাকে মারধর করে জিকু ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনায় বাদি হয়ে কোনাবাড়ী থানায় জিকুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করি। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে।  

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম জিকু বলেন, বাইমাইল ছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ড এবং মৌচাক থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলার ৪০টি গাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয় সবুজ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি পরিছন্নতাকর্মীদের কাউকে চাঁদা দিতে না করি। কিছুক্ষণ পর সবুজ আমাকে ফোন করে এবং ময়লার ব্রিজের পাশে এসে বলে ‘তুই চাঁদা দিতে না করার কে? আমি সবুজ চাঁদা নেই না, সব চাঁদা কাউন্সিলর নেয়। ’ এর আধা ঘণ্টা পর স্থানীয় কাউন্সিলর আব্বাছ উদ্দিন খোকন সেখানে পৌঁছাযন। তার গাড়িচালক কামাল গাড়ি থেকে লাঠি নিয়ে আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, মামলার পর চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারপরও শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। গাড়ি চলাচলে সাময়িক অসুবিধা হলেও পরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
আরএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।