সাতক্ষীরা: গাভী থেকে দুধ আহরণের পর তা থেকে তুলে নেওয়া হয় মাখন। এরপর বাকি অংশে গ্লুকোজ ও তেল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে মিশ্রণের মাধ্যমে পূরণ করা হয় মাখনের ঘাটতি, তৈরি হয় খাঁটি দুধ! পরে তা বাজারজাত করা হয়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি সমন্বিত দল। এসময় তারা সেখান থেকে ৪৭০ কেজি ভেজাল দুধ জব্দ করেন। পরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে দুধ বানানোর কাজে ব্যবহৃত ৩৬ কেজি গ্লুকোজ, ক্রিম বানানোর কাজে ব্যবহৃত ১০ লিটার তেল ও ব্লেন্ডার জব্দ করা হয়।
পরে জব্দকৃত দুধ ল্যাবে পাঠানো হলে ভেজাল প্রমাণ হয়। সেই সঙ্গে উজ্জ্বল কুমার ঘোষ ভেজাল দুধ তৈরি ও বিক্রি করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল কুদ্দুস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উজ্জ্বল কুমার ঘোষকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ভেজাল দুধ ধ্বংসের নির্দেশ দেন।
সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী জব্দকৃত ভেজাল দুধ ধ্বংস করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ২০, ২০০২৩
এমএমজেড