মাগুরা: মুরগি ও ডিমের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে আমরা গরিব মানুষ খাব কীভাবে? আগে যদিও মাসে তিন চারদিন মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেতে পেতাম এখন দাম বাড়ার কারণে মুরগির মাংস-ডিম আর কপালে জুটছে না। বাড়িতে শিশু সন্তান রয়েছে তাদের মুখে একটু মাংস দিতে পারি না।
এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। গরিব মানুষের কথা শুনার মতো কোনো মানুষ নেই। মাগুরা পুরাতন বাজারে ডিম কিনতে এসে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। শুধু আমেনা বেগম নন ওনার মত অনেকেই এখন খাবার তালিকায় একটি অথবা দুইটি পদ দিয়ে জীবনযাপন করছেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম। নিম্ম আয়ের মানুষ পড়ছে চরম বিপাকে। আগে যেখানে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ডিম মাংস জুটতো এখন খাবারের তালিকা থেকে ডিম মাংস বাদ দিতে হচ্ছে।
শহরের পুরাতন বাজার ডিম ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে ১০০ ডিম ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, মুরগির খাবারের প্রতি বস্তা ২৮০০ টাকা ২৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় অনেক খামারি লোকসানে আছেন।
তবে একই এলাকার ডিম ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতি পিস ডিম ৯ টাকা ৬০ পয়সায় খামারিরা আমাদের কাছে বিক্রি করেন। তবে এখানে ছোট দোকানি যারা রয়েছেন তারা প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা থেকে সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি করছেন যার ফলে খামারিরা বেশি দাম পাচ্ছেন না। খুচরা ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া ডিম ও মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
পুরাতন বাজার এলাকায় মুরগি ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, খামারির কাছ থেকে মুরগি বেশি দামে কিনে আনতে হয়। যে কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে বয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি সোনালি ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা জেলা খাদ্য ও বিপণন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ডিম ও মাংসের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেলা খাদ্য ও বিপণন অফিসের পক্ষ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ ডিম ও মুরগির বাজার প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। আশা করছি আগামী রমজানের আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
আরএ