লক্ষ্মীপুর: মাদক মামলায় আদালতে সাজা হয়েছে সোহেল হাওলাদারের। রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে।
কিন্তু পুলিশি বাধায় ঠিকমতো কথা বলতে পারেননি তিনি। তবে দুই মাস বয়সী কন্যাশিশু জান্নাতকে আদর করতে ভুলেননি সোহেল। মায়ের কাছ থেকে মেয়েকে কোলে তুলে নেন তিনি।
সোহেলকে যখন কাস্টডিতে নেওয়া হয় তখন তার এক হাতে ছিল হাতকড়া, আর অন্যহাত দিয়ে নিজের শিশুকন্যাকে বুকে নিয়েছেন। তবে পুলিশি বাধায় কোলের মধ্যে বেশি সময় রাখতে পারেননি শিশুকে। মুহূর্তের মধ্যেই পুনরায় তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে শিশুকে।
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সমানে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল রায়পুরের উত্তর চরাবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামের একটি কবরস্থানের পাশে থেকে ৫৫ পিছ ইয়াবাসহ সোহেল হাওলাদারকে আটক করে রায়পুর থানা পুলিশ। এ সময় ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাসুম নামে আরেকজনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে রায়পুর থানায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সোহেল ও মাসুমকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন।
সোহেলের স্ত্রী শান্তা জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মাদক মামলায় সোহেলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকে তাদের দু’মাসের সন্তানকে দেখতে পায়নি তার স্বামী। সোমবার আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য করায় তিনি শিশু সন্তানকে নিয়ে আদালতে আসেন। এ সময় শিশুটির বাবা তাকে আদর করার জন্য বুকে টেনে নেন। তবে সেই মুহূর্তটি স্থায়ী ছিল না। পুলিশি বাঁধায় ঠিকমতো কন্যাকে আদর করতে পারেননি সোহেল।
প্রসঙ্গত, মাদক মামলায় সোহেল হাওলাদারের ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। সে এখন কারাগারে রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রায়পুরের চরপক্ষী গ্রামের আবু বকর হাওলাদারের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
জেডএ