বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় অপমানে আত্মহত্যা করেন জোসনা বেগম (৩৫) নামে এক মা।
আত্মহত্যার ৪দিন পর মামলায় অভিযুক্ত বখাটে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।
বখাটে যুবকের নাম আসাদুল (২৫)। তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া এলাকার সুলতান হাওলাদারের ছেলে তিনি।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব পটুয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার তুহিন রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসাদুলকে রোববার সকালে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মেয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লাউপাড়া এলাকার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়ে (১৩) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও কলে কথা বলে আসাদুল। মেয়ের অজান্তে এ নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করে রাখে আসাদুল। গত ৮ মার্চ মেয়ের মা জোসনা বেগমকে ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসাদুল। ওই টাকা এক দিনের মধ্যে না দিলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা না পেয়ে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় আসাদুল। বিষয়টি গত ৯ মার্চ সকালে জানাজানি হলে জোসনা বেগম ব্যাটারির এসিড পানি পান করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সেই মেয়ে জানায়, আসাদুলের কারণে আমার মা আত্মহত্যা করেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচার না পেলে আমিও আত্মহত্যা করব।
মেয়ের বাবা বলেন, আমি ঢাকার ইপিজেডে চাকরি করি। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে আসার পর বিষয়টি জানতে পারি। অভিযুক্ত আসাদুলকে আসামি করে রোববার সকালে তালতলী থানায় মামলা করি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এসিড পানে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুলকে আসামি করে তালতলী থানায় শনিবার রাতে মামলা হয়। রোববার সকালে জবানবন্দি নিতে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে ভিক্টিম মেয়েকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এসএএইচ