নাটোর: নাটোরের উত্তরা গণভবনে গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে ৫২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার প্রবেশ মূল্য বাবদ টিকিট বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে রক্ষণাবেক্ষন ও কর্মরত জনবলের সম্মানী বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
সভায় জানানো হয়, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ২০১৫ সালে নির্ধারিত প্রবেশ মূল্য ও গাড়ি পার্কিং ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, শিক্ষার্থী এবং সিনিয়র সিটিজেনের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ টাকা, সূবর্ণ সিটিজেনের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত ১০ টাকা, বিদেশীদের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার থেকে ১০ ডলার বা ৮০০ টাকা এবং ৫১ থেকে ১০০ জনের গ্রুপের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া নির্ধারিত জায়গায় গাড়ি পার্কিং ফি হচ্ছে- বড় বাস ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মিনিবাস ৭৫ থেকে ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ৫০ থেকে ১০০ টাকা, ইজিবাইক বা সিএনজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং বাই সাইকেল ১০ টাকা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাদিম সারওয়ার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিন সাত্তার, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, শিক্ষাবিদ সুবিধ কুমার মৈত্র এবং মুনিমুল হক।
সভায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা ও প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রাজপ্রাসাদ এবং প্রবেশ তোরণের ঐতিহ্যবাহী ঘড়ি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে হৃদের মাছ প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি এবং হৃদে মাছের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এফআর