খুলনা: পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুলনার বাজারে জোরদার মনিটরিং করা হবে। ভেজাল খাদ্য যাতে বিক্রি না হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর রাখবে।
রোববার (১৯মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মার্চ মাসের সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় তিনি সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যথাসময়ে শেষ করা ও সরকারি সব দপ্তরের মধ্যে কাজের মধ্যে সমন্বয়ের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া ৬০টি সরকারি দপ্তরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। তিনি বলেন, আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ প্রায় শেষ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) তাপস কুমার পাল বলেন, খুলনা জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, নিষ্পত্তি হয়েছে আটটি। রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ৩০৬ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন গুজব যাতে না ছড়ায় এ জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জেলায় অনাবাদী পতিত জমি আছে ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ জমিকে নতুন করে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলমান বোরো মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। খুলনা জেলায় ৭০ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার কৃষকের মাঝে পাটবীজ বিতরণ করা হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মণ্ডল, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এমআরএম/এমজে