ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লাকসামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
লাকসামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর: কুমিল্লার লাকসামে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রহমত উল্লাহ রনি (২২)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১১।  

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালী র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

 

তিনি জানান, গ্রেপ্তার রহমত উল্লাহ রনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানাধীন জয়াগ ইউনিয়নের উলুপাড়া গাছী বাড়ীর সামসুদ্দিনের ছেলে। গত ৬ এপ্রিল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদাল আকবর হোসেন বাবুল নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে রনির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।  

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী র‍্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে চাটখিল থানাধীন হালিমা দিঘিরপাড় এলাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব যায়, ২০১৭ সালের ১ আগষ্ট নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাধীন মুদাফফরগঞ্জ এলাকার ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।  

পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিম আকবর হোসেন বাবুলের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করে। মামলার তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।  

গত ৬ এপ্রিল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করে ৫ জনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত মামলার পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাকে সোনাইমুড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।   

র‍্যাব আরও জানায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিপি আক্তারের সঙ্গে ভিকটিম আকবর হোসেন বাবুলের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে আসামি লিপি আক্তার অন্যান্য আসামিদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে অপহরণ পূর্বক হত্যা করে। তারপর মরদেহ নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলাধীন মুদাফফরগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।