পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদীতে ভাড়া বাসা থেকে সুবর্ণা খাতুন (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নতুন ট্রাফিক মোড় এলাকার একটি বাড়ির দোতলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত সুবর্ণা খাতুন নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুল সাত্তারের মেয়ে। তিনি পাবনার টেবুনিয়া কৃষি ফার্মে চাকরি করতেন। তার স্বামী সাব্বির হোসেন ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ট্রাফিক মোড় এলাকার দিরাজ উদ্দিনের বাড়ির দোতালায় স্বামীর সঙ্গে বাস করতেন সুবর্ণা খাতুন। প্রায় ২০ দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের কারণে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে সুবর্ণা খাতুন ওই বাসায় একাই বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক দোতালার ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় গৃহবধূর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে জানান, রাতে (১৩ এপ্রিল) খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। সেখানে ঘরের দরজা ভেঙে গৃহবধূকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ওসি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহের জেরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি অরবিন্দ সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এনএস