ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিআরটিএর প্রতিবেদন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিআরটিএর প্রতিবেদন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’

ঢাকা: গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনকে অতীতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর মতো বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

একইসঙ্গে বিআরটিএর প্রতিবেদনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতদের সংখ্যা কম দেখানোয় সেটাকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ দাবি করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (৮ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিআরটিএর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন দেওয়ার এই অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।  

বিআরটিএর এপ্রিল মাসের দিনভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগে এবারের ঈদযাত্রায় ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ৫৬৫ জন আহত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংগঠনটি। প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন বিআরটিএর পক্ষ থেকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন অবাস্তব ও কাল্পনিক দাবি করে সংগঠনটির কাছে প্রতিবেদনের বিস্তারিত চেয়ে চিঠি দেয়।

চিঠিতে একই সময়ে বিআরটিএর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের চেয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫১টি, নিহত ৮৯ জন, আহত ৫৫ জন বেশি কেন হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাবি করে বিআরটিএ। এই বিষয়টি বিশ্লেষণের জন্য বিআরটিএর প্রস্তুতকৃত এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত দিনভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্যাদি যাত্রী কল্যাণ সমিতির কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনটি পাওয়া গেলে বিশ্লেষণের পর পরই দ্রুততম সময়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ঈদযাত্রার সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য বিআরটিএর কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির চিঠিতে বলা হয়, বিআরটিএ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তৈরি করে মাসভিত্তিক প্রকাশ করছে। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিআরটিএর প্রতিবেদনের সঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদন বা বেসরকারি কোনো সংগঠনের প্রতিবেদনের মিল নেই।  

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। স্বেচ্ছায় সংগঠনটি কাজ করে থাকে। তবে বিআরটিএ জনগণের টাকায় চলা প্রতিষ্ঠান। তাই তাদের জবাবদিহিতা থাকা উচিত।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান জনসম্মুখে প্রকাশ না করার জন্য বলা বা প্রকাশ করার আগে বিআরটিএকে দেখাতে বলা বিআরটিএর এখতিয়ার বর্হিভূত নয়।

বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী বলেন, এখনো কোনো চিঠি পায়নি বিআরটিএ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।