ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তিন কারণে গাসিক নির্বাচনের ফল প্রকাশে বিলম্ব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
তিন কারণে গাসিক নির্বাচনের ফল প্রকাশে বিলম্ব

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে নয় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগার পেছনে তিনটি কারণ দায়ী বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণগুলো হলো- ভোটার সংখ্যা বেশি, প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং সময় শেষেও ভোটগ্রহণ।

রোববার (২৮ মে) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা ছয়টার পরেও অনেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। কেননা, অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে বিকেল ৪টার আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন। আইন অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে কোনো ভোটার উপস্থিত থাকলে তার ভোট সময় শেষ হলেও নিতে হয়।

এছাড়া মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন। যদিও ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন। ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ৪৮০টি কেন্দ্রে।

এছাড়া মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন,  বড় সিটি করপোরেশন, অনেক প্রার্থী, এসব কারণে নির্বাচনের ফলাফল দিতে সময় লেগেছে। তবে সংসদ নির্বাচনে ফলাফল দিতে এত সময় লাগবে না। কারণ, সংসদ নির্বাচনে কোন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী থাকবে না। এছাড়া, প্রায় চারটা সংসদীয় আসনের সমান গাজীপুর সিটি করপোরেশন। বড় হওয়াতেই মূলত ফলাফল প্রকাশে সময় বেশি লেগেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে গাজীপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করার তারা সবসময়ই সমালোচনা করেন। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় ৪৫ দিন আগে থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা পড়ারও সুযোগ পাইনি, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে। বিদেশীরা কি চাইলো সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে, ভবিষ্যতেও করবে। নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোন চাপ কখনোই আসেনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে নাই। তাই আমরা বলতে পারি না আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা সব দলকে বলবো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। তবে নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।