মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে চাঞ্চল্যকর সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
দীর্ঘ ৯ বছর পালিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবচরের যাদুয়ারচর এলাকার মৃত গফুর হাওলাদারের দুই ছেলে মিজানুর রহমান কুটুম (৪২) ও শাহীন হাওলাদার (৩৮)।
এর আগে একই মামলার আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আলামিনকে গত ১৪ মে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া মৃত আব্দুল গফুর হাওলাদারের আরেক ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খালেক হাওলাদার (৩৫) এখনো পলাতক।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট রাতে নিজ বাড়িতে সোহেল মল্লিককে হত্যা করে মরদেহ লেপ দিয়ে পেঁচিয়ে খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। ঘটনার পরদিন (৯ আগস্ট) নিহতের বাবা বাদী হয়ে শিবচর থানায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহীন হাওলাদার ও মিজানুর রহমান কুটুম নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র্যাবের নজরে আসে এবং র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ফলশ্রুতিতে উক্ত মামলার আসামিদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এলাকা এবং সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমাণ্ডার মুহতাসিম রসুল জানান, ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার জাদুয়ারচরের সিদ্দিক মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় অপরাধীরা। পরে ২০১৮ সালের ১৪ মে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহম্মদ ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন আসামিরা। পরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে মিজানুর রহমান ও শাহীন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
র্যাব-৮ কোম্পানি কমাণ্ডার আরও জানান, এর আগে গত ১৪ মে মামলার অপর আসামি বেলায়েত খাঁর ছেলে আল আমিন খাঁ (২৭) কে রাজধানীর যাত্রবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খালেক হাওলাদার এখনো পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
এনএস