ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাসায় চার্জার ফ্যানের শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা ও মায়ের পর মারা গেছেন সোনিয়া আক্তার (২৭)। ৪০ শতাংশ দগ্ধ সোনিয়া মঙ্গলবার (১৩ জুন) দিনগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।
বুধবার (১৪ জুন) বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, সোমবার ও মঙ্গলবারে মারা যায় সোনিয়ার বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল ও মা বুলবুলি, আর মঙ্গলবার (১৩ জুন) দিনগত রাতে মৃত্যু হয়েছে সোনিয়ার।
শুক্রবার (৯ জুন) ভোরে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় ওই শর্ট সার্কিটের ঘটনায় আগুন লেগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। তারা হলেন- আব্দুস সালাম মণ্ডল (৫০), বুলবুলি (৪০), সোনিয়া আক্তার (২৭), পুতুল (২৫) ও মেহেজাবিন (৭)। এ ঘটনার পর তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সোহাগ জানান, আহতদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখতে পান বাসার সবার শরীরে আগুন। পরে দ্রুত আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, ফতুল্লা থেকে নারী ও শিশুসহ আসা ৫ জনের মধ্যে সালামের ২৫ শতাংশ, বুলবুলির ২০, সোনিয়ার ৪০, পুতুলের ২০ ও মেহেজাবিনের ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর ছিল।
>>> আরও পড়ুন: দগ্ধ স্বামীর পর মারা গেলেন স্ত্রী, নাতনি-মেয়েদের অবস্থাও গুরুতর
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড