ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘পদ্মা সেতু দেখার ঘোর কাটেনি এখনও’

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
‘পদ্মা সেতু দেখার ঘোর কাটেনি এখনও’

মাদারীপুর: উদ্বোধনের দিন থেকে হিসেব করলে প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো স্বপ্নের পদ্মাসেতুর বয়স এক বছর হতে মাত্র ২ দিন বাকি। এরপরও পদ্মা সেতু দেখার ঘোর যেন কাটছে না ভ্রমণপিপাসুদের।

সাধারণ মানুষের আগ্রহ যেন আরও বেড়েছে। পদ্মার ঢেউয়ের শব্দ, মৃদু-মন্দ হাওয়া আর পদ্মা সেতু সবমিলিয়ে বিকেলের সময়টা উপভোগ করতে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসছেন পদ্মার পাড়ে।  

ভ্রমণপ্রেমীরা বলছেন, ‘পদ্মাসেতুর ঘোর কাটেনি এখনও’।

সরেজমিনে শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে পদ্মা সেতুর উত্তর পাড় (শিমুলিয়া ঘাট এলাকা) ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর পাড়জুড়ে শত শত মানুষ। নানান বয়সী মানুষের মিলনমেলা পদ্মার পাড়ে। রয়েছে বাহারি মুখরোচক খাবারের অসংখ্য দোকান। ঘাট থেকে ট্রলারে করে পদ্মা সেতু দেখতে ছুটছেন অনেকেই। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে খরচ হচ্ছে ট্রলারে। এক ঘণ্টা ঘুরে আবার ফিরে আসছেন পাড়ে। ঘাটে প্রায় অর্ধশত ট্রলার রয়েছে পদ্মা সেতু দর্শনে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য। ফেরিঘাটের পন্টুন, নদীর পাড়সহ শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় শত শত মানুষের ভিড়।  

ঢাকা থেকে আসা নয়ন নামের এক যুবক বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন। বিকেলের সময় কাটাতে পদ্মার পাড়ে এসেছি। অসংখ্য লোকজন এখানে। পদ্মা সেতু দেখতে এখনও প্রচুর লোকজন আসছে। সব মিলিয়ে পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠেছে এক পর্যটন কেন্দ্র। খুবই ভালো লাগছে। তাছাড়া সেতু চালুর এক বছর পূর্তি হচ্ছে ২৫ জুন। আমরা গর্বিত দক্ষিণাঞ্চলবাসী।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আফরোজা আক্তার বলেন, পদ্মার বাতাস এবং পদ্মা সেতু, নদীর ঢেউ। সব মিলিয়ে মুগ্ধকর পরিবেশ। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। মন ভালো হয়ে যাচ্ছে।

পদ্মার পাড়ে মানুষের মিলনমেলাকে ঘিরে পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাসমান দোকান। চটপটি-ফুচকা, আইসক্রিম, ফাস্টফুড, আচারসহ নানান ধরনের মুখরোচক খাবারের দোকান। দোকান ঘিরে মানুষের ভিড়। এছাড়াও পদ্মার ইলিস-খিচুড়ির জন্যও রয়েছে বেশ কিছু অভিজাত রেস্টুরেন্ট।

পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য পদ্মার পাড়ে বসেছে দোকান আইসক্রিমবিক্রেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে সারা রাত পদ্মার পাড়ে ভ্রমণপ্রেমীরা থাকছেনই। রাত ২ টার পর লোক সমাগম আরও বাড়ে। ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে চলে আসে পদ্মার পাড়ে। বেচাকেনাও হয় প্রচুর।

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মাসেতু। সেতু চালুর পর পদ্মাপাড়ের ঘাট বন্ধ হয়ে গেলেও ঘাট এলাকা এখন পর্যটকদের দখলে। পদ্মাসেতুর উত্তর পাড় অর্থাৎ, শিমুলিয়া ঘাটে প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু হয় পর্যটকদের ভিড়। নদীর জল ছোঁয়া বাতাস, ঢেউয়ে পা ভেজানো আর পদ্মা সেতু দর্শন ঘিরে হাজারো মানুষে মুখোরিত থাকে প্রতিদিনের বিকেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।