ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২

ঢাকা: আগামী সেপ্টেম্বরে জি-২০ সামিটের সময় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২, খুলনা-মোংলা পোর্ট রেলওয়ে লাইন এবং আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে লিংক উদ্বোধন হতে পারে।

আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামিটে অংশ নেবেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় তিনি এ তিনটি প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ এবং খুলনা-মোংলা পোর্ট রেলওয়ে লাইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ভারতীয় ঋণ চুক্তির আওতায়। আর আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে লিংক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ভারতীয় অনুদানে।

ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগামীতে ভারত তাদের গ্রিডের মাধ্যমে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেবে বলেও আশা প্রকাশ তিনি।

এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টাকা-রুপির বিনিময় ব্যবস্থা, কানেকটিভিটি, ভারতীয় এলওসি’র অধীনে চলমান প্রকল্প এবং অনুদান ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।

টাকা-রুপি বিনিময় ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড।

তিনি বলেন, উভয় পক্ষই এই কার্ডগুলি ইস্যু করবে যাতে দুই দেশের মানুষ লেনদেনে এই কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন কাজে ভারত যান এবং তারা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

শেখ হাসিনা দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারত, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জন্য আওয়াজ তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয় জর্জ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এমইউএম/আরএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।