ঢাকা: ঢাকা-খুলনা রুটে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন চললেও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ছিল না কোনো ট্রেন। এবার স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য চালু হলো নকশীকাঁথা কমিউটার।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশে নকশীকাঁথা কমিউটার যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে ২১০ টাকায় ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের। সাশ্রয়ী মূল্যে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
যাত্রীরা বলেন, নতুন ট্রেন চালু করায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
তারা বলেন, এ ট্রেন চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ আরও দ্রুত ও সহজ হলো। ব্যবসার কাজে বা পরিবার নিয়ে ঢাকা যেতে সময় লাগবে কম। এ ট্রেনের মাধ্যমে শুধু খুলনা নয় রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও যশোরের মানুষও কম খরচে ঢাকায় আসতে পারবেন।
রোকনুজ্জামান মিয়া নামে এক যাত্রী ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছেন এ ট্রেনে। পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, নকশীকাঁথা কমিউটার পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। এত গতিতে যাওয়ায় ভালোই লাগছে।
সপ্তাহে সাতদিন খুলনা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাবে নকশী কাঁথা কমিউটার। ট্রেনটি ঢাকা পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। আর ঢাকা থেকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ১০টা ২০ মিনিটে।
খুলনা থেকে ২৫টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে থামবে ট্রেনটি। মাঝের স্টেশনগুলো হলো -দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, সায়দারপুর, আনসারবাড়ীয়া, উথলী দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, মুন্দিগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালসা, পোড়াদহ জং, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুষ্টিয়া, কুমারখালী, খোকসা, মাছপাড়া, পাংশা, কালুখালী, বেলগাছি, রাজবাড়ী, খানখানাপুর, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, বাবুয়া, তালমা, পুখুরিয়া, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা, মাওয়া, শ্রীনগর, নিমতলী, গেন্ডারিয়া ও ঢাকার কমলাপুর।
যাত্রী উঠা-নামার সুবিধা না থাকায় আপাতত ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।
এর আগে এটি মেইল ট্রেন হিসেবে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচল করত। এবার বর্ধিত করে খুলনা-ঢাকা রুটে চলবে এবং মেইল ট্রেনের শ্রেণি পরিবর্তিত হয়ে কমিউটার ট্রেন হিসেবে চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
এনবি/জেএইচ