ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দেওয়ায় গচ্চা যাবে ১২ লাখ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দেওয়ায় গচ্চা যাবে ১২ লাখ টাকা

যশোর: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে ঠিকাদার বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ‘বিশেষ সুবিধার’ মাধ্যমে গত ৪ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে অন্তত ১২ লাখ টাকা।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা বরাদ্দে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের জন্য নয়টি গ্রুপের দরপত্র আহ্বান করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার। এর মধ্যে ছয়টি গ্রুপের কাজে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আর পছন্দের ঠিকাদার না পাওয়ায় অবশিষ্ট তিনটি প্যাকেজের কাজের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কারাগার সূত্র অনুযায়ী, মেসার্স সাগর বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি, এসএম শফি, এমকে আল মামুন, হাফিজুর রহমান ও শিকদার ট্রেডার্স নামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান যশোর কারাগারের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের দরপত্রে অংশ নেয়। এরমধ্যে সি ও ডি প্যাকেজে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের জন্য ৪১ লাখ টাকায় এসএম শফিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।  

এ প্যাকেজে মেসার্স সাগর বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি ৩৭ লাখ টাকা সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেওয়া হয়নি। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দেওয়ায় এখানে সরকারের বাড়তি খরচ হবে ৪ লাখ টাকা।

অন্যদিকে বি এবং জি প্যাকেজে এমকে আল মামুনকে ৩২ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্যাকেজে ২৯ লাখ টাকা সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মেসার্স সাগর বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি। এখানেও বাড়তি খরচ হবে তিন লাখ টাকা।

এ ছাড়া এ ও আই প্যাকেজে ৪৫ লাখ টাকায় কাজ বাগিয়ে নিয়েছে শিকদার ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৪০ লাখ টাকা সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল মেসার্স সাগর বেকারি এন্ড কনফেকশনারি। সর্বনিম্ন দরদাতাকে উপেক্ষা করায় পাঁচ লাখ টাকা বেশি গুণতে হবে সরকারের। এভাবে সরকারের মোট ১২ লাখ টাকা গচ্চা যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাগর বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারির স্বত্বাধিকারী তোফাজ্জেল হোসেন দাবি করেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তার প্রতিষ্ঠান কারাগারে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেছে। আগে যারা সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারাও কারাগারের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার হিসেবে তাকে মালামাল সরবরাহের প্রত্যয়ন দেন। কিন্তু ‘খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ’ ঠিকাদার কথাটি উল্লেখ না থাকার ঠুনকো অজুহাতে সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও তাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। এতে সরকারের অন্তত ১২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হবে। এজন্য তিনি আইনি লড়াইয়ে যাবেন।

জানতে চাইলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, মেসার্স সাগর বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (পিপিআর) অনুযায়ী সর্ব শর্ত পূরণ করেনি। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দেওয়া যায়নি।  

তিনি আরও বলেন, কী কারণে কাজ পায়নি, প্রতিষ্ঠানটিকে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে সবকিছু বিধি মোতাবেক হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
ইউজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।