ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি’র ঘাটতি কানাডাকে হতাশ করেছে। কারণ, বাংলাদেশ এসব মূলনীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তাই জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিকাশে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা এবং সমর্থন করে। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনকালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি ও সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। যারা সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ নির্বাচনে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতিতে ঘাটতি কানাডাকে হতাশ করেছে, কেননা এসব মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তাই বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিকাশে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। একটি শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হলে একটি কার্যকর বিরোধী দলকে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭১ সালে প্রথম যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, কানাডা তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের স্বার্থে তাদের সমর্থনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
টিআর/আরএইচ