ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১ কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়ে সিন্ডিকেট রোধ করা হয়েছে: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
১ কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়ে সিন্ডিকেট রোধ করা হয়েছে: তাপস

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনো আলু, কখনো ডিমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে তারা। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।

শেখ হাসিনা যতদিন আছেন, ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মানুষের দোরগোড়ায় যাতে করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সে জন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে, তখনই তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়। যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এসব কারসাজি করে আসছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।

মেয়র বলেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে। যারা কারসাজি করেন, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একমাত্র শেখ হাসিনাই এসব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সবার জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফীর সহযোগিতায় ২ হাজার মানুষের মধ্যে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

এর আগে এদিন সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ডেমরার শুকরসী খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র নেতারা, করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এইচএমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।