ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের উন্নয়ন মসৃণ করতে চীনের আরও সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
দেশের উন্নয়ন মসৃণ করতে চীনের আরও সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দেশের উন্নয়ন মসৃণ করতে চীনের কাছে আরও সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গণভবনে সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান। তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দেশের জন্য এ সহযোগিতা চান শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান।

সিপিসির ভাইস মিনিস্টারকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে অতীতের চেয়ে চীন আরও বেশি সহযোগিতা করতে পারে। সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এ জন্যই তিনি চীনের সহযোগিতা চান।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের অভিনন্দন জানান সান হাইয়ান। তিনি বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম ও বাংলাদেশি জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং মমতার কারণে শি জিংপিং আপনার আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কারণ দেশ ও জনগণের প্রতি আপনার দেশপ্রেম ও আপনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।

এ সময় চীন সরকার ও সিপিসির পক্ষ থেকেও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান তিনি।

এম. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন সান হাইয়ান। তিনি আশা করেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বব্যাপী অটিজম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি এও আশা করেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলবে।

এ সময় চীনের উপমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সময় আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা দেখেছি।

শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কারণ, আমি সফলভাবে দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছি যে ‘আমরা করতে পারি। ’

প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাকেও কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। তিনি সান হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন।

ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান এ সময় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরও বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।