ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন নৌপথ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতির দৃশ্যমান প্রতীক: প্রণয় ভার্মা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
নতুন নৌপথ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতির দৃশ্যমান প্রতীক: প্রণয় ভার্মা

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, নতুন নদীপথ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ সংযোগের অংশ। এটা দুই দেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি একটি দৃশ্যমান প্রতীক।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মাইয়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের ফ্ল্যাগিং-অব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী পোর্ট অব কলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

ভারতীয় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচনে মাল্টিমোডাল সংযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মাইয়া-সুলতানগঞ্জ নদী রুট পুনরায় চালু এর একটি পদক্ষেপ হিসেবে অবহিত করেন যা শুধু সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতির জন্যই উপকৃত হবে না বরং জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং একীকরণ ও জোরদার করবে।

হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ভারত আজ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। তিনি আশা করেন যে, উন্নত যোগাযোগ সংযোগ এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। হাইকমিশনার অন্যান্য ভবিষ্যৎ আসন্ন উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের চুক্তির বিষয়ে উল্লেখ করেন, যার আলোচনা শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।

ইন্দো বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট ৫ এবং ৬-এর পোর্ট অব কলের আওতায়, সুলতানগঞ্জ-গোদাগাড়ী পোর্ট অব কলের উদ্বোধন এবং সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মাইয়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের  ফ্ল্যাগিং-অব, ভারতের মাইয়া বন্দর এবং সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী বন্দরের মধ্যে পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজের পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রথম উদ্যোগ। এই আইবিপি রুটের মাধ্যমে কার্গো চলাচলের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথের ইকোসিস্টেমকে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ এবং সিনিয়র নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ এবং বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।