ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দ্বিতীয় রমজানে অফিস শেষে তীব্র যানজট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
দ্বিতীয় রমজানে অফিস শেষে তীব্র যানজট

ঢাকা: সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস শেষে বাড়ির পথে ছুটেন কর্মজীবীরা।  

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে ইফতারই মূল লক্ষ্য সবার।

 

এ কারণে অফিস ছুটির পর ঘরমুখো মানুষদের চলাচলে মুখর হয়ে ওঠে রাজধানীর সড়কগুলো। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) দ্বিতীয় রমজানে বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে সড়কগুলোতে বাড়ে যানবাহনের চাপ৷ রাজধানীর সড়কগুলো অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে৷ 

এদিকে সড়কগুলোতে যাতে কোথাও যানবাহনের বিশৃঙ্খলা বা যানজটের সৃষ্টি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।  

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও বেশ কিছু স্থানে সড়কগুলো একেবারেই স্বাভাবিক।  

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার পর রাজধানী বিভিন্ন সড়কে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।  

রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, পুরান পল্টন, নয়া পল্টন, কাকরাইল, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, রমনা, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডার সড়কগুলোতে যানজটের ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।  

অপর দিকে, সাতরাস্তা, মহাখালী, পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বাড়ে।  

এদিকে, রাজধানীর যেসব এলাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে, সেবা এলাকায় যানজট বা যানবাহনের চাপ অনেক কম থাকতে দেখা গেছে।  

উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, হয়ে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ প্রেসক্লাব পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই।  

অন্যদিকে, উত্তরা, বিমানবন্দর, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, ফার্মগেটের এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থাকায় এসব এলাকায় খুব বেশি যানজট দেখা যাচ্ছে না। তবে এসব এলাকায় সড়কে ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে৷ 

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ট্রাফিকের অতিরিক্ত ফোর্স সড়কে কাজ করছে। এছাড়াও সড়কে চলাচলকারী চালক, যাত্রী, ও পথচারীদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসনে সম্ভব নয়।  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার। যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা গাড়িতে চড়ছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন তাদের সহযোগিতা দরকার। তবে আমরা আশাবাদী সকলে যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান সম্ভব। আর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
এসজেএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।