ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘আমি নিজে ছেলেকে খুনিদের হাতে তুলে দিলাম’ বলে মূর্ছা যাচ্ছেন মা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
‘আমি নিজে ছেলেকে খুনিদের হাতে তুলে দিলাম’ বলে মূর্ছা যাচ্ছেন মা

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তার নাম কাজী আবিদুর রহমান মাহিন (১৮)।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মাহিন উপজেলার নিজগাঁও গ্রামে কাজী আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি এবার শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ঈদের দিন রাত ৮টায় দুই যুবক মাহিনের বাড়ি এসে তাকে ডেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনের পাশে দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ফেলে যায়।

পরে পথচারীরা মাহিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার বাড়িতে গেলে স্বজনরা জানান, মোজাহিদ ও জুনাইদ নামে দুই যুবক মাহিনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ সময় বসতঘরে লুটিয়ে পড়ে বিলাপ করছিলেন মাহিনের মা রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে মাহিনের সঙ্গে প্রতিবেশী মোজাহিদ ও জুনাইদের ঝগড়া হয়। এজন্য মাহিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেই ক্ষোভে দুজন ডেকে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মাহিন ঈদের আগের দিন ফুটপাতের দোকান থেকে তিনটি পুরাতন পাঞ্জাবি কিনেছিলেন। সেগুলোর একটিও পরতে পারেননি।  

‘আমি নিজে ডেকে আমার ছেলেকে খুনিদের হাতে তুলে দিলাম’ বলে রোকেয়া খাতুন বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন।  

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাহিন পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এলাকার লোকজন তার শিষ্টাচারের প্রসংশা করেন।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম দাশ জানান, মাহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৯ ঘণ্টা,এপ্রিল ১২, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।