ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম, কাটেনি ছুটির আমেজ

খাদেমুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম, কাটেনি ছুটির আমেজ

ঢাকা: ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি শেষে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে প্রথম কার্যদিবসে আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম।

অনেক বিচারকও ছিলেন ছুটিতে।  

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেশিরভাগ আদালতে মামলার সংখ্যাও ছিল তুলনামূলক কম। এ কারণে বিচারকরা এজলাসে আসন নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষে নেমে যান।  

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বাভাবিক সময়ে সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও আজ বেলা ১১টার দিকে আসন নেন বিচারক হেলাল উদ্দিন। অল্প কিছুক্ষণ দেওয়ানী মামলা শুনানি শেষে খাসকামরায় যান।  

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বিরতি শেষে দুপুর ১২টায় ফের এজলাসে উঠে কিছুক্ষণ ফৌজদারি মামলার শুনানি নেন। এভাবেই শেষ হয় অন্যতম ব্যস্ত এই আদালতের প্রথম কার্যদিবস।  

একই অবস্থা দেখা যায়, ঢাকার মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিনের কাজ শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই খাসকামরায় চলে যান।  

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মহানগর দায়রা জজ আদালতেও ছিল একই চিত্র। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত আদালতে ফৌজদারি বিবিধসহ অন্যান্য মামলার শুনানি হয়। তবে এদিন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।  

ঢাকার আদালতে প্রথম কার্যদিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. পারভেজ জানান, ছুটির পর একটু ঢিলেঢালা ভাব ছিল। বিচারপ্রার্থীরাও অনেকে আসেননি। আদালতও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সময় মঞ্জুর করেছেন। সবমিলিয়ে ছুটির আমেজই বিরাজ করছিল।  

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী এইচ এম মাসুম জানান, অনেক আদালতের বিচারক ছুটিতে রয়েছেন। অনেক আইনজীবীও আসেননি। অনেক ক্ষেত্রে জুনিয়র আইনজীবীদের দিয়ে সময়ের আবেদন শুনানি করান তারা। আদালতও সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।  

সার্বিক বিষয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, ওই আদালতের নিয়মিত বিচারক ছুটিতে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তার স্থলে জামিনসহ জরুরি আবেদন নিষ্পত্তি করেন। যেহেতু আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীর উপস্থিতি কম ছিল, তাই পুরোপুরি সরগরম হয়ে ওঠেনি আদালত। হয়তো আগামী সপ্তাহ নাগাদ পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে উঠবে আদালতপাড়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
কেআই/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।