পাবনা (ঈশ্বরদী): জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বর্তমানে তারা পাবনা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডে চড় গড়গড়ি আলহাজ মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ইছাই ব্যাপারি (৫০) নামে একজনের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহতরা হলেন- উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চড় গড়গড়ি এলাকার ইছাই ব্যাপারী (৫২) দোয়াত প্রমাণিক (৫৩), মৃত খুরজান মণ্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ মণ্ডল (৪২), রবিউল ইসলাম (৫০), আবুল হামিদ দুলালের ছেলে খোকন হোসেন (৩০), মৃত মহির উদ্দিন প্রমাণিকের ছেলে মাহাবুল প্রমাণিক (৪০), নুর ইসলাম প্রমাণিক (৫৫), আফাই প্রমাণিকের ছেলে রনি প্রমাণিক (৪০), হুজুর আলী প্রামাণিকের স্ত্রী নুরী বেগম (৫০), সাধু হুদা (৫৫) ও আনারুল প্রমাণিক (৫০)
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ইছাই ব্যাপারীর সঙ্গে আনারুল প্রমাণিকের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। স্থানীয়ভাবে সেই বিরোধ বহুবার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু সমাধান হয়নি। সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আনারুলের লোকজন মীমাংসায় বসে। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র লাঠি, হাঁসোয়া, রড নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। সংঘর্ষে রিয়াজুল ব্যাপারীপক্ষের ইছাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক খায়রুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আহতরা পাবনা সদর হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জমি সংক্রান্ত জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। ফের যেন সংঘর্ষ না হয় এ কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
আরএ