ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা: আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে থাকবে এটা নিয়ে হিংসা করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে মৌলবাদের যে প্রভাব শুরু হয়েছে সেটি এখনো পর্যন্ত কন্ট্রোলে নিয়ে আসা যায়নি। আজকে তারা পহেলা বৈশাখকে বিতর্কিত করতে চায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এ পহেলা বৈশাখকে গ্রহণ করতে চায়; কিন্তু তারা এটা চায় না।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িকতা ছিল, বর্তমানে সেটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িকতার পরিপন্থি। নির্বাচনের সময় যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি হয় সেটি আমরা কখনোই চাই না। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা যা-ই বলি না কেন; কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। সামাজিক শক্তি আমাদের এখানে খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। সমাজ এখন মৌলবাদের হাতে চলে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। সরকার যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হয়েছে, আমরা চাইবো এ অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চাই। আমাদের যে শক্তি আছে আমরা কখনোই চাই না সেটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাক।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা এখন একেবারেই কম। আমরা প্রায় পাকিস্তানের সমানে হয়ে এসেছি। আমাদের ওপরে যে আচরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেগুলোর বিচার তেমন হয় না। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। এদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সাম্প্রদায়িক দেশে তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাস গুপ্ত, নাট্যকার শ্রী রামেন্দু মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. বিরেন সিকদার, অর্থনীতিবিদ ড. দেব প্রিয় ভট্টাচার্য ও প্রফেসর ড. মেজবাহ কামাল।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭,  ২০২৪
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।