ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন কারখানা-বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন দেবে পেশাদার প্রতিষ্ঠান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
নতুন কারখানা-বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন দেবে পেশাদার প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাইরে নতুন কারখানা এবং বাণিজ্যিক ভবনের নকশা ও পরিকল্পনার অনুমতির জন্য পেশাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৯ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে গঠিত জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এখন থেকে নতুন কারখানাগুলো ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা ও পরিকল্পনার যে অনুমোদন দেওয়া হবে, বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাইরে যেগুলো আছে, সেগুলোর অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অধীনের কমিটি। আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পেশাদার সংগঠন যেগুলো আছে, যেমন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার—এসব সংগঠন তাদের অথরাইজড করার মতো কারা আছেন, তাদের একটা তালিকা দেবে। যেমন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, প্লাম্বিং, এমইপি, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল—তাদের তালিকা দিয়ে দেবে। তালিকায় যাদের নাম আছে, ভবনের নকশায় তাদের সই আছে কিনা; সেটা দেখবে কমিটি। অনেক সময় সই নকল হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম তাড়া থাকবে, তালিকাভুক্তদের সইয়ে প্ল্যানিং বা নকশা জমা দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা দেখা। সাথে পেশাগত সংগঠনকে সাথে নিয়ে সই সঠিক কিনা; সেটার সত্যতা যাচাই করা হবে। ’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা আইন হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)। এই আইনে একটি অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) করার কথা রয়েছে—বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি। যত দ্রুত সম্ভব এটা যাতে পূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে তিন পর্যায়ে আমরা সারা দেশের কলকারখানা পরিদর্শন করেছি। প্রথম পাঁচ হাজারে ফল অনেক ভালো পেয়েছি। পরিদর্শনের পর কারেক্টিভ অ্যাকশন প্ল্যান করে তাদের জানানো হয়েছে যে, এই ত্রুটি আছে, এগুলো ঠিক করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি, আমরা যেভাবে অনুরোধ করেছিলাম, অন্তত ৫০ শতাংশ সেটা বাস্তবায়ন করেছে। বাকিদের আরও সময় দেওয়া হয়েছে, তারা সবাই কাজ করছেন। সবার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে আমরা যেভাবে দ্রুত পরিদর্শন করেছি, দ্বিতীয় পর্যায়েও সেটা চালু থাকবে। তৃতীয় পর্যায়ে সারা দেশে পাঁচ হাজার ভবন পরিদর্শনের কথা ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সারা বাংলাদেশে পরিদর্শন না করে ষোলোটি জেলা যেখানে শ্রমঘন এলাকা বেশি, সেগুলো আমরা পরিদর্শন করব। ’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) একটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের প্ল্যানিং, ফায়ার সার্ভিসও থাকবে। ’

তিনি আরও বলেন, গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ঢাকা শহরের দুটো বাণিজ্যিক মার্কেট আমরা চিহ্নিত করেছিলাম, একটা গুলশানের শপিং কমপ্লেক্স, আরেকটা হচ্ছে মৌচাক। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে গুলশানেরটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর মৌচাকের বেলায় হাইকোর্ট থেকে একটি স্টে অর্ডার এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ওটাকে না ভেঙে রেট্রোফিট করার জন্য। আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজউক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দেখবে যে এটা (মৌচাকের মার্কেট) রেট্রোফিট করা যায় কিনা। যদি করা সম্ভব হয়, তাহলে করা হবে। সম্ভব না হলে আবার আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করার জন্য বলব। ’

ঢাকা শহরের অনেক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় দোকানপাট ও অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আমরা বলেছি যে পার্কিংয়ের জায়গা যাতে পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহার হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।