ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় ব্যাংকে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
বগুড়ায় ব্যাংকে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

বগুড়া: জেলার সদর উপজেলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে ২৯ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১০ লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

আটকরা হলেন- সদর উপজেলার হুকমাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩০), আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের বিপ্লব সরকার মিথুন ওরফে মিঠু (২৮), সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের পাভেল এবং গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া গ্রামের বিমল রাজভড় (৩০)। এদের মধ্যে পাভেলের বিরুদ্ধে দুইটি এবং জাহিদুলের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন।

এর আগে গত ১২ জুন বগুড়া শহরের মাটিডালী এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় সিন্দুক ভেঙে চোর চক্রটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে পুলিশের একাধিক টিম চোরদের ধরতে অভিযান শুরু করেন।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ব্যাংকে চুরির মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল ইসলামকে ঢাকার দক্ষিণখান থেকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, এক মাস আগে ব্যাংকের ওই উপশাখায় চুরির পরিকল্পনা করে। পরে বিভিন্ন সময় জাহিদুল ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে পর্যবেক্ষণ করে। ঘটনার রাতে পাঁচজনের একটি দল চুরি করার জন্য মাটিডালী এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ২টার দিকে তিনজন ব্যাংক ভবনটির তিন দিকে পাহারায় থাকে। পরে ভবনের পেছন দিক দিয়ে জাহিদুল ও বিমল ভেতরে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় চুরির টাকা তারা ব্যাংকের ময়লা রাখা বস্তায় নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি আরও বলেন, আটকের পর পাভেলের কাছ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৭০ টাকা, বিমলের কাছ থেকে দুই লাখ ৯৩ হাজার ২২০ টাকা, মিথুনের কাছ থেকে এক লাখ ৯১ হাজার ২৫০ টাকা এবং জাহিদুলের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং চুরির টাকা দিয়ে কেনা একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহীনুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
কেইউএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।