জামালপুর: জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সড়ক উপচে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। দ্রুত বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার তিনটি, মেলান্দহ উপজেলার চারটি এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার দুইটিসহ মোট ১৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকায় যাতায়াতের জন্য স্থানীয় রাস্তাগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বন্ধ আছে ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বন্যার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দুইটি সড়ক ভেঙে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তিন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী চার দিন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এবারে মাঝারি আকারের বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসক সাফিউর রহমান বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার ৭ উপজেলায় ৩০০ টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৪
এফআর