ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা

ঢাকা: পেনশন ইস্যুতে কর্ম বিরতিতে থাকা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান ও সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলামসহ ১৭ জন শিক্ষক ও ডিজিএফআইয়ের দুজন কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। এটা আলোচনার শুরু। পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে সেটি তো এখন বলা যাচ্ছে না। এখানে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় আছে, আরও কর্তৃপক্ষ আছে। এখানে কিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।  

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের আলোচনার পর কোনো ব্রিফিং থাকবে না। এখন নানা বিষয় থাকবে সেগুলো শিক্ষকমণ্ডলী এবং অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, আজ আমরা একটা বিশেষ সময়ে হাজির হয়েছি। দেশ আজ চরম সংকটে। এত সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা-ভাবনা করে আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, দেশ-জাতি আমাদের সবার। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের সংকটের মুহূর্তে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবো। যত অপশক্তি থাকুক না কেন, যত শক্তি প্রয়োগ করুক না কেন, যত দেশ-বিদেশি চক্রান্ত আসুক না কেন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেব। আমরা আমাদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করবো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে চলে গিয়েছিল, সে ভয়াবহতার কাছ থেকে আমাদের উদ্ধার করেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, এ ধ্বংসযজ্ঞ থেকে উদ্ধার করে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে যে পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, স্থিতিশীলতা আবারও এসেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী আজ শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর ব্যাপক যে আহত হয়েছে তাদের সেই আত্মত্যাগের ওপর ক্ষমতা দখলের যে হীন নৃশংস, যে ষড়যন্ত্র তারা করতে চেয়েছিলেন সেটি তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী মন্ত্রণালয়ে এসেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।