ঢাকা: হাসিনা সরকারের অবৈধ বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ তার সৃষ্টি নয় বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তিনি নিজেও আয়নাঘরে ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে শুনানি চলাকালে এ দাবি করেন তিনি।
বিচারককে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমাকেও আট দিন আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট আমাকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে আটদিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম। আমি নির্দোষ। ’
জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘আয়নাঘর সম্পর্কে সবাই জানেন। আয়নাঘর উনার (জিয়াউল আহসান) সৃষ্টি, এ তথ্য সত্য নয়। আয়নাঘরে তিনি অলরেড়ি আট দিন থেকে এসেছেন। ’
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে আদালতে নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শাহজাহান আলী নিউ মার্কেট থানাধীন মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে যান তিনি। সেদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে জানান যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহজাহানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শাহজাহানের মরদেহ শনাক্ত করেন বাদী।
চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে তিনি ওই সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। জিয়াউল আহসান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
এসএএইচ