বরিশাল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বরিশালে পুলিশের দায়ের করা ১১টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। সাক্ষী ও প্রমাণ না পাওয়ায় নগর পুলিশের সাতটি ও জেলা পুলিশের চারটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বরিশাল নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মহানগর পুলিশ সাতটি মামলা দায়ের করেন। এ সাতটি মামলায় আসামি করা হয়েছিল অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তিকে। এছাড়া বরিশাল জেলার মুলাদী, হিজলা, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়ায় একটি করে মামলা করে জেলা পুলিশ। চার উপজেলার চারটি মামলায় ২০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা পুলিশ।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে এ থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এ চারটি মামলা তদন্ত করে জানতে পেরেছে অভিযোগ সঠিক নয়। তাই মামলাগুলোর বিষয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছি।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, কোটা আন্দোলনে বরিশাল জেলার ১০টি থানার মধ্যে চারটি থানায় একটি করে চারটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এ মামলাগুলোতে মোট আসামি ছিলেন ১৮০ থেকে ২০০ জন। পরে পর্যাপ্ত সাক্ষী ও তথ্য না পাওয়ায় মামলাগুলোর চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাগুলো দায়ের হয়। পরে আমরা তদন্তে গিয়ে সত্যতা না পাওয়ায় মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। সবার সঙ্গে বসে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরিশালের শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এমএস/আরআইএস