ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঐতিহাসিক ঘোড়াদিঘির পাড়ের শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
ঐতিহাসিক ঘোড়াদিঘির পাড়ের শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

বাগেরহাট: বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়াদিঘির পাড়ে লাগানো শতাধিক নারকেল, সজনে ও পেঁপে গাছ উপড়ে ও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।  

গেল ১৬ সেপ্টেম্বর রাতের কোনো এক সময় দিঘিটির পাড়ে লাগানো গাছগুলো বিনষ্ট করা হয়।

 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। দিঘির সংরক্ষিত পুরাকীর্তি বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের অংশ। তিন বছর আগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এর পাড়ে ৫০টি নারকেল গাছ, সম্প্রতি ৬১টি পেঁপে গাছ আর বেশ কিছু সজনে গাছ রোপণ করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

বুধবার বিকেলে বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়াদিঘিটির আয়তন ৪০ একর। ১৫ শতকে এ দিঘিটি খনন করেছিলেন হজরত খানজাহান (রহ.)। দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক নিয়মিত মসজিদ-দিঘিসহ খানজাহান (রহ.) এর নির্মিত অনন্য সব পুরাকীর্তি দেখতে আসেন বাগেরহাটে। এখানে দিঘি ও এর পাড়ে বসে মুগ্ধ হন তারা। মূলত সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এ দিঘিটির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছিল। নিয়মিত পরিচর্যায় নারকেল গাছগুলো বড় হতে শুরু করে, পেঁপে গাছে ফল ধরে। হঠাৎ গত ১৬ সেপ্টম্বর রাতে দিঘির দক্ষিণ পাড়ের নারকেল ও পেঁপে গাছগুলো কেউ বিনষ্ট করেছে। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিl কে বা কারা কেন এমন শত্রুতা দেখালো- বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান পুলিশ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।  

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জড়িত থাকতে পারে। তারা ক্যাম্পাসে অবাধে যাতায়াত করতে চায়। তা না পারার জেরে রাতের আঁধারে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে গাছ নষ্ট করেছে।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।