সিলেট: শুল্কফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে প্রতিনিয়ত আসছে চোরাই পণ্য। চিনি, চাপাতা, গরু-মহিষ, মাদকদ্রব্যতো আছেই।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট-তামাবিল সড়কে শহরতলীর সুরমা গেইট এলাকায় চার হাজার ৩০০ প্যাকেটের ক্রিমের চালান পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জব্দ ক্রিমের বাজারমূল্য আনুমানিক ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে শুরু হয় হুলস্থূল কাণ্ড। স্থানীয় জনতা প্রাইভেটকারের এক আরোহীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে শাহপরাণ (রহ.) মাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেটকারটি তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় ক্রিমের চালান আটক করে। তবে প্রাইভেটকারের চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। জনতা আটক ব্যক্তিকে পুলিশ সোপর্দ করে।
আটক ফয়জুল হাসান (৪৮) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু নয়াগ্রামের মৃত কৃদরত উল্লাহর ছেলে। আর পলাতক প্রাইভেটকার চালক আলীম উদ্দিন (২৫) জৈন্তাপুর উপজেলার লামা শ্যামনহর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এসআই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আটক ব্যক্তি ও পলাতক চালককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
এনইউ/এইচএ/