কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ গুম করতে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় ডুবিয়ে রাখা হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আরিফকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে খুন করা হয়। মরদেহ গুম করার জন্য পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও হোতা পেকুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আটকের পর এমন তথ্য বেরিয়ে আসে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আরিফকে অপহরণে সহযোগিতা করেন মোবাইল অপারেটর কোম্পানিতে কর্মরত রুবেল খান নামে এক যুবক। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। রুবেল শিক্ষক আরিফের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন। এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফকে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারীরা স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গত শুক্রবার বিকেলে আরিফের বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এসবি/জেএইচ