চাঁদপুর: প্রজননের জন্য সাগর থেকে নদীতে আসা ইলিশ নিয়ে প্রতিবছরই গবেষণা করা হয়। আর এ কাজটি করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষকরা।
এ বছরও পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে। এখন চলছে ইলিশ গবেষণা কার্যক্রম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছের আড়তে ডিম ছেড়ে দেওয়া ইলিশ মাপতে দেখা যায় এক মৎস্য বিজ্ঞানি ও একজন গবেষণা সহকারীকে।
পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরে সরাসরি জেলেরা নিয়ে আসেন এ আড়তে। যে কারণে ইলিশের প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে হরিণা ফেরিঘাটকে নির্ধারণ করেছেন মৎস্য গবেষকরা। এ ঘাটে প্রায় ১০টি আড়তে ইলিশ বিক্রি হয়। জেলেদের ধরে আনা ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ইলিশের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ওজন পরিমাপ করেন তারা। কি পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে। কি পরিমাণ ডিমসহ ধরা পড়ছে। ছোট সাইজের ইলিশ ডিম ছাড়ছে কিনা তাও জরিপ করা হচ্ছে।
হরিণা মাছঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা ইলিশের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য বিজ্ঞানী রিজভী কায়সার ও গবেষণা সহকারী আব্দুস সালাম।
জানা গেছে, প্রতিবছর এসময়ে জেলার মতলব উত্তর উপজেলা থেকে শুরু করে সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী উপকূলীয় এলাকার আড়তগুলোতে এ জরিপ চালানো হয়। গবেষণার জন্য নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষকরা তাদের নিজস্ব জাহাজে করে অভয়াশ্রম এলাকায় নিজস্ব ইলিশ মাছ ধরার ফাঁদ দিয়ে ইলিশ ধরে গবেষণা কার্যক্রম চালান।
মৎস্য বিজ্ঞানী রিজভী কায়সার বলেন, আজকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, হরিণা ফেরিঘাট ও হাইমচরের কয়েকটি আড়তে ইলিশের অবস্থান সম্পর্কে জরিপ করা হচ্ছে। আমাদের এ কাজের ফলাফল সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি নেই। তবে এ কার্যক্রমের ফলাফল আমাদের প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাবেন। এটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
এসআই