ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): সারা দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আগামী বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে তিন দিনব্যাপী কত্থক নৃত্য উৎসব শুরু হবে। প্রথম ২ দিন ছায়ানটে এবং পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ উৎসব আয়োজিত হবে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের পরিচালক সাজু আহমেদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও উৎসবটি পালিত হবে। আমরা প্রথম দুইদিন ছায়ানটে আয়োজন করব। পরদিন ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে করতে চেয়েছি। অনুমতি পেলে সেখানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তৃতীয়দিন আয়োজন হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ছায়ানট মিলনায়তনে এবং ২৬ ডিসেম্বর রবীন্দ্র সরোবরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ‘পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ত্রয়োদশ কত্থক নৃত্য উৎসব’ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শীর্ষ স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন ও নৃত্যকলায় জাতীয় পর্যায়ে নৃত্য প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার প্রাপ্ত শিশু-কিশোররা এ উৎসবে অংশ নেবে। এছাড়া উৎসবে একজন নৃত্যগুণীকে কত্থক নৃত্যগুরু জিনাৎ জাহান স্মৃতি সম্মাননা পদকে ভূষিত করা হবে।
সাজু আহমেদ বলেন, এ বছর আমাদের আয়োজনে বায়ান্ন থেকে চব্বিশ পর্যন্ত আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য একটি পরিবেশনা রয়েছে। এছাড়া সাতচল্লিশ সালে যে দেশভাগ হয়েছে, সে বিষয়ে ‘প্রসঙ্গ-৪৭’ নামে একটি আয়োজন থাকবে।
সম্মেলনে ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান মনিরা পারভীন বলেন, আমরা এই উৎসব আসলে একটি মিলনমেলা। আমরা যারা শিক্ষক পেশায় চলে এসেছি, তারা নাচের মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। যারা শিক্ষার্থী, তারা এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ হতে পারে। ফলে আমরা চাইব বিশ্ববিদ্যালয়ের যত বেশি শিক্ষার্থীকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে নৃত্যশিল্পী বৈশাখী মজুমদার, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইমন কুমার দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে সাজু আহমেদের উদ্যোগে ছায়ানটে উৎসবটি আয়োজিত হয়। এ পর্যন্ত ১২ বার অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
এএটি