ঢাকা: সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে দেশের বিভিন্ন নারী সংগঠন এবং বিভিন্ন সেক্টরের নারী নেতৃত্ব।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনায় এক বৈঠকের মাধ্যমে সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আালোচনা করেন নারী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
আলোচনা শেষে নারী সংগঠনগুলোর গৃহীত প্রস্তাবগুলো নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের কাছে পাঠানো হয়। তিনি এর প্রাপ্তি স্বীকার করেন।
সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধির নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নারী সংগঠনগুলোর প্রস্তাব—
> সংসদে আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০-তে উন্নীত করতে হবে, যেখানে নতুন ১০০টি আসন নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং শুধু নারী প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
> ১০০টি আসন ৬৪ জেলার মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ভাগ হয়ে যাবে যেখানে কমপক্ষে প্রতিটি জেলায় ১টি নারী আসন থাকবে, যাতে সর্বমোট ১০০টি আসন নিশ্চিত হয়।
> এক জেলার মধ্যে যে আসনটি প্রথমবার সংরক্ষিত থাকবে পরবর্তী মেয়াদে সেটা সরাসরি আসন হিসেবে বিবেচিত হবে, এভাবে এক জেলার মধ্যে নারী আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে চলবে। ফলে নতুন নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে।
> ৩ পার্বত্য জেলাসহ (অন্তত দুটি জেলায় পাহাড়ি আদিবাসী নারী) এবং অন্যান্য আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে আদিবাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
> রাজনৈতিক দলগুলো সকল নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে অন্তত ৩৩% নারী মনোনয়ন দেবে। পর্যায়ক্রমে এই হার জনসংখ্যায় নারীর সংখ্যা অনুপাতে বৃদ্ধি করতে হবে।
সংসদে নারী আসন এবং নারী প্রতিনিধির নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া সংগঠনগুলো হলো—ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, হিল উইমেনস ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, স্পেস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক নারী জোট, বাংলাদেশ লেখক সংঘ, নাগরিক নারী ঐক্য, নারী মুক্তি কেন্দ্র, বিপ্লবী নারী ফোরাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এমজেএফ