রাজশাহী: রাজশাহীতে এক যুবদল নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই যুবদল নেতার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এর আগে স্থানীয় একটি গ্রুপের শিপলুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর মিন্টুর বাড়িতে গুলি করা হলে একটি গুলি দরজা ভেদ করে বাড়িতে ঢোকে। এতে আহত হন মিন্টুর বাবা আলাউদ্দিন। গুলিটি তার কোমরে লেগেছিল।
এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে তিনি অপারেশন থিয়েটারে মারা যান।
সালাহউদ্দিন মিন্টু জানান, তাদের এলাকায় দুপক্ষের টাকা-পয়সা নিয়ে একটা বিরোধ চলছিল। এর মীমাংসার জন্য গত রাতে উভয়পক্ষের লোকজন রাজশাহীর বিমানবন্দর থানায় বসেছিল। একপক্ষের একটি ছেলে তার ‘ছোট ভাই’। এ জন্য তিনিও গিয়েছিলেন। থানায় মীমাংসাও হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফেরেন। এর আধাঘণ্টা পরই তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে মহানগরীর ভুগরইল শিহাবের মোড় এলাকার কয়েকজনের নাম জানিয়ে মিন্টু বলেন, ‘তারা ১০-১২ জন এসেছিল। সবাই স্থানীয় টোকাই এবং মাদকাসক্ত। তারাই গুলিবর্ষণ করেছে। ’
এদিকে হামলার ঘটনা সম্পর্কে বুধবার দুপুরে মিন্টু যখন কথা বলছিলেন, তখন তার বাবার অস্ত্রোপচার চলছিল। তিনি তখনও জীবিত ছিলেন। তাই চিকিৎসার ব্যস্ততা শেষে মিন্টু মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে এর কিছুক্ষণ পর তার চাচাতো ভাই মো. রনি জানান, আহত আলাউদ্দিন মারা গেছেন।
রাজশাহী বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, দুটিপক্ষ থানায় একটি আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিলেন। তারপর নাকি একপক্ষ গিয়ে গত রাতে মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলটা পড়েছে শাহ মখদুম থানা এলাকায়। তাই শাহ মখদুম থানা-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে আলাউদ্দিন মারা গেছেন বলে শুনলাম। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
এসএস/এইচএ/