ঢাকা: চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘স্প্রিং ফেস্টিভাল’ বিস্তৃত পরিসরে উদযাপিত হয়ে থাকে।
পুরাতন বছর পেরিয়ে নতুন বছরে পদার্পণের এ উৎসবের অন্যতম উপলক্ষ্য হলো পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি, বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা।
চীনা সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যগতভাবে এ সম্পর্কে পরিবর্তন, জ্ঞান বৃদ্ধি এবং স্থায়ী প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং চীনা দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার ঝিজিয়াং উ অপেরা’। বাংলাদেশ এবং চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে আগ্রহী। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, নববর্ষ উদযাপন ও অপেরা চীনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় মনিপুরী নৃত্য পরিবেশিত হয়। সিলেটের ‘একাডেমি ফর মুনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস’ এর শিল্পীরা ১০ মিনিটের এ নৃত্য প্রযোজনা উপস্থাপন করেন। এরপর চীনের ‘ঝিজিয়াং ট্রু অপেরার শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
টিআর/আরআইএস