ঢাকা: গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে দগ্ধ নুসরাত জাহান শান্তা (১৯) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দগ্ধ শান্তা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ার এলাকার আব্বাস আলীর মেয়ে। তিনি নাখালপাড়ার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেন্টু চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দগ্ধ শান্তার বড় বোন রেবেকা সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, বেশ কয়েক বছর আগে মোবাইলে শান্তার সঙ্গে গাজীপুর কাপাসিয়ার নলগাঁও গ্রামের তৌহিদুর রহমান নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
‘প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে তৌহিদুর মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে তিনি শান্তার সঙ্গে খারপ ব্যবহার করতে থাকেন। বুধবার আমরা খবর পাই-শান্তা গাজীপুরে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ’
তৌহিদুরের মামা শামীম শেখ বলেন, গুরুতর অবস্থায় শান্তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, শান্তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
** গাজীপুরে দগ্ধ তরুণীকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
এজেডেস/আরএইচএস/এমএ